ঈশ্বর কি সত্যি
আছেন থাকলে কোথায় ?
ধীমান ভট্টাচার্য ( সবজান্তা
গামছাওয়ালা )
পদার্থবাদ ও
ঈশ্বর বাদের দৈরথ পৃথিবীর উন্নতির
সাথে সাথে বেড়েচলেছে
/ ঈশ্বর কি সত্যিই আছেন?
নাকি শুধুই অন্ধ
বিশ্বাস , আমার মনেহয় এই
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি আজ সমাজে খুবই বিচার্য
/ কেউ বলেথাকেন ঈশ্বর
কে উপলব্ধি
করেছেন , আবার শুনেছি অনেকে
ঈশ্বর দেখেছেন
/ আমি দেখিনি , কিন্তু কোনো কাজ করে
পরিতৃপ্তি পেয়েছি
/ আমার জীবনের একটি সরল
সত্য হলো কোনো কাজ
করতে যাবার আগে আমি আমার
মা ও বাবার ছবির
সামনে নতশিরে প্রণাম করে
তবে ঈশ্বর কে প্রণাম করি
আমার দিন ভালো কাটে বা
না কাটলেও মা ও বাবা
কে অথবা ঈশ্বর কে
দশ দেই না / কর্ম যদি
ঠিক না হয় তবে
ফল ও হবে সেই
রকম / এটা মানতেই হবে
, তবে কোথাও না কোথাও যে
ঈশ্বর বা মৃত মানুষের
প্রতি আমরা আস্থাশীল তা
শিকার করতেই হবে
কিন্তু কেন ? তবেকি ঈশ্বর
কি সত্যিই আছেন? আত্মা কি অমর ? নাস্তিকতাও
তো একটা বিশ্বাস, নাকি?এখানে বিশ্বাসকে কি অর্থে আপনি
ব্যবহার করেছেন সেটির উপর নির্ভর করছে।
(a+b)2 সমান যে a2+2ab+b2 হয়, এটিকেও যদি
বলেন বিশ্বাস, তবে সে ধরণের
বিশ্বাসের অর্থে বলতে রাজী আছি
যে নাস্তিকতাও এক ধরণের বিশ্বাস।
বৃষ্টির কারণ হিসাবে পানিচক্রের
কথা বললে যদি বলেন
এটাও বিশ্বাস- তবে সে ধরণের
বিশ্বাসের অর্থে নাস্তিকতাকেও বিশ্বাস বলতে পারেন।আর, যদি
বলেন ভুত-পেত্নীতে বিশ্বাস,
বা তুকতাকে বিশ্বাস বা রাহু গিলে
খাওয়ায় চন্দ্রগ্রহণ হয় এটাতে বিশ্বাস
বা গ্রীক মিথের জিউসের কারণে বা মুসলিমদের মিকাইলের
কারনে বৃষ্টি হয় এটাতে বিশ্বাস-
এসব বিশ্বাসের অর্থে বলেন, তবে বলবো- নাস্তিকতা
এ ধরণের বিশ্বাস নয়। আস্তিকতা হলো
এ ধরণের বিশ্বাস, যার জন্য কোন
যুক্তি প্রমাণ লাগে না এবং
এটা একধরণের অন্ধত্বজনিত বংশানুক্রমিক বা যুগানুক্রমিক বিশ্বাস।ঈশ্বর
এক, অব্যয় ও অদ্বিতীয়। তিনি
অনাদির আদি। এক হয়েও
তিনি বহুদা বিভুতিতে প্রকাশ। যেমন তিনি একদিকে
সৃষ্টি কর্তা ও স্হিতি কর্তা,
অন্যদিকে দিকে তিনি প্রলয়েরও
কর্তা। ঈশ্বর হল জাগতিক ক্ষমতার
সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থানকারী কোন অস্তিত্ব| আর্যদের
স্মৃতি শাস্ত্রে মূলতঃ ঈশ্বর বিষয়ে এভাবেই ধারণ দেয়া আছে।
এই মহাবিশ্বের জীব ও জড়
সমস্তকিছুর সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রক আছে
মনে করা হয়। ঈশ্বরের
ধারণা ধর্ম ও ভাষা
ভেদে ভিন্ন। ভাষাভেদে একে ইংরেজি ভাষায়
গড, আরবি ভাষায় আল্লাহ
এবং বাংলা ও সংষ্কৃত ভাষায়
ঈশ্বর ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়।
পরম একেশ্বর ভগবানকে কখনো হরি, কখনো
বিষ্ণু, কখনো নারায়ন, কখনো
কৃষ্ণ আবার কখনো না
রাম বলে সম্মোধন করা
হয়। সুতরাং ঈশ্বর
এমন একটি অখণ্ড শব্দ বা
শক্তি যা
কিনা অনাদি সৃষ্টি ও বিনাশের
অধীশ্বর এক এবং অভিন্ন
শক্তি /‘বাশিষ্ঠ!……ত্রৈবিদ্য ব্রাহ্মনের মধ্যে এমন একজনও নেই
যিনি নিজের চোখে ব্রহ্মাকে দেখেছেন।
…..এক আশ্চর্য….
এক আচার্য-প্রাচার্য…..
সপ্ত-পর্যায় ধরেও আচার্যই হতে
পারে না….
ব্রাহ্মনগণের পূর্বজ ঋষি, মন্ত্রকর্তা, প্রবক্তা…. অষ্টক,বামক, বামদেব, বিশ্বামিত্র, জমদগ্নি, অঙ্গিরা, ভরদ্বাজ, বশিষ্ঠ, কাশ্যপ, ভৃগু…….
এদের মধ্যে কি কেউ ব্রহ্মাকে
স্বচক্ষে দেখেছেন? ……যাঁকে দেখেননি, জানেননি তাঁরই অস্তিত্ব নিয়ে উপদেশ করেন!……..
বাশিষ্ঠ! এ যেন সেই
অন্ধগণকে ক্রমপর্যায়ে পংক্তিবদ্ধ করা; প্রথমজনও দেখতে
পায় না, দ্বিতীয়জনও দেখতে
পায় না, তৃতীয়জনও নয়….।’” (তেবিজ্জসূত্র,
১/১৩)। পৃথিবীর
সমস্ত প্রাণীর মধ্যে মানুষ হল অদ্বিতীয়। বাইবেল
জানায়, ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে আমরা তাঁর
মতো হই এবং তাঁর
ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত করি। (আদিপুস্তক ১:২৭) এ
ছাড়া বাইবেল শিক্ষা দেয় যে, মানুষ
ঈশ্বরের বন্ধু হতে পারে।
ইসলাম
ধর্মতে "রব" বা "প্রতিপালক" বা "সৃষ্টিকর্তা" একজনই এবং সেই প্রতিপালক'কে আরবি ভাষায়
"একক প্রতিপালক" বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ আল্লাহ বলে
সম্বোধন করা হয়, যাকে
বিশ্বজগতের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও প্রভু বলে
ইসলাম ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করেন।
ইসলাম
ধর্মে আল্লাহ্ হলো একটি নৈবর্তিক
ধারণা, যা দ্বারা সমগ্র
বিশ্ব জগতের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী সৃষ্টিকর্তা এবং প্রভুকে বুঝানো
হয়। ইসলামের প্রধান ঐশী ধর্মগ্রন্থ কুরআনে
স্রস্টাকে আল্লাহ নামে ডাকা হয়েছে।
"আল্লাহ" শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হল "শুধু
প্রতিপালক" বা "সুনির্দিষ্ট/একক প্রতিপালক" (নির্দিষ্টভাবে
একক উপাস্য, উপাসনার যোগ্য একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা)।
অন্যান্য ইব্রাহিমীয় ধর্মের (ইহুদী ও খ্রিস্টান) মত
ইসলামেও "একক প্রতিপালক" (আল্লাহ্)
কে একমাত্র সর্বোচ্চ সত্তা, সর্বোচ্চ ও অসীম ক্ষমতার
অধিকারী এবং অসীম পরিমাণ
উত্তম গুণে গুণাণ্বিত বিশ্বজগতের
একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং মানুষের একমাত্র
উপাসনাযোগ্য সত্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ।
আল্লাহ শব্দটি আরবি ভাষায় লিঙ্গ
পার্থক্যবিহীন। আরবি ভাষী খ্রিষ্টান
ও ইহুদীরাও "সুনির্দিষ্ট/একক ঈশ্বর" বোঝাতে
"আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন, আর
"ইলাহ্" শব্দটি
আরবিতে যেকোন প্রতিপালক বা সৃষ্টিকর্তা, পালন
কর্তা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।বিজ্ঞানীদের ঈশ্বর বিশ্বাস নিয়ে প্রায়ই
আইনস্টাইনের বিখ্যাত উক্তি-- ‘বিজ্ঞান ধর্ম ছাড়া খোঁড়া, আর একইভাবে ধর্ম বিজ্ঞান ছাড়া
অন্ধ’ ব্যবহার করা হয় । কিন্তু কেন এবং কোন আলোকে তিনি তা বলেছিলেনন তা অনেকেই জানিনা
। এবং তাকে একজন বিশ্বাসী ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করি । কিন্তু তিনি যে এই প্রথাগত প্রচলিত
সংগঠিত ধর্মের বিশ্বাসের কথা বলেন নাই, বিশ্ব ব্রম্মান্ডের নিয়মকেই ঈশ্বর বলেছিলেন
এবং সাথে এও বলেন যে ঈশ্বর কখনও স্বেচ্ছাচারী হতে পারেন না এবং তিনিও ইচ্ছে করলেই এই
নিয়মের বাইরে যেতে পারেন না ।তিনি স্পিনোজার সেই ঈশ্বর মানতেন যে ‘পাশা খেলে না’ ।
তার সেই মতামতের কথা বলেছেন সেই একই সাক্ষাৎকারে । নিম্নে তারই অনুবাদ দেয়া হলো । সাক্ষাৎকারটি
পিটার বুকি’র ‘ The Private Albert Einstein’ গ্রন্থ থেকে নেয়া । সুতরাং ঈশ্বর একটি পজেটিভ
এনার্জি যা কিনা মানুষের মানুষের অবয়বের মধ্যে লুকিয়ে আছে , ছড়িয়ে
আছে মহাবিশ্বে / কেউ ডাকছেন ঈশ্বর আবার কেউ আল্লাহ বা কেউ
গড / সুতরাং ঈস্বরবাদ নিয়ে যে এতো গুলো
কথা বললাম তার কারণ বর্তমান পৃথিবী তে ভারতবর্ষ
আর লম্পট ,ধর্ষক বাবাদের আধিপত্য -এবং
ধর্মের নাম যুদ্ধ এ সকল পজেটিভ এনার্জির এভাবেই ঘটে চলেছে
কারণ চাহিদা ও বন্টন সমান নয় / শিক্ষার
চাহিদা ও বন্টন সমান নয় , অর্থের চাহিদা ও বন্টন সমান নয় , কর্মের চাহিদা ও
বন্টন সমান নয় / যার সুযোগ নিচ্ছে রাজনীতি ও আর লম্পট
,ধর্ষক বাবারা, রাজনৈতিক ঝান্ডাওয়ালা সমাজবিরোধী রা ও ভ্রষ্টাচারীরা / সুতরাং
আর কত দিন ? আর কত দিন ঘুমিয়ে থাকবেন
আমার ভায়েরা ও বোনেরা , ওই দেখুন বীর বাঙালি যুবক বিবেকানন্দ বলছেন - তেলী, মুচি ,মেথর আমার ভাই / "বহুরূপে সম্মুখে তোমা ছাড়ি, কোথা
খুজিছো ঈশ্বর জিবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর "//
Comments
Post a Comment