আমাদের অবস্থা .... "যা ভাগাড়ে যা" এর মতো ... আজকাল মানুষ তার অবয়ব টা মানুষের মতো রাখবার কৃত্তিম চেষ্টা করে চললেও আসলে তা একদম নয় / এরকম চললে মানুষ একদিন শকুনের অবয়ব নেবে / একদল খাবে ওপর দল খেতে পাবে না , চাকুরী পাবে না হয় তেলেভাজা নয়তো পকোড়া ভাজবে ,একদল পড়াশোনা করে ডাক্তার হবে আর একদল শিক্ষার আলো দেখতে পাবে না হয় জমি বাড়ির দালালি করবে নয় তো দুষ্কৃতী হবে / আর এইসব অপকর্ম করে চলবে / আজকাল দেখি সকলের হাতে বড়ো বড়ো আইফোন বা স্মার্ট ফোন , অথচ ঘরে অর্থের সংকট / প্রযুক্তি গত সুবিধা আর অর্থের অসম বন্টন থেকে আসে লালোসা ও হিংসা এবং তার থেকে জন্ম নেয় অপসংস্কৃতি , আর সেই কারণেই সমাজে প্রতিটি স্তরে দেখাযাচ্ছে অপকর্ম , ভ্রষ্টাচার , নারী নির্যাতন , রাজনৈতিক দাদাগিরি , ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আয় ও সম্পদগত অসমতাকেই অর্থনৈতিক বৈষম্য বলা হয়। সম্পদের অসম বন্টন এবং আয়ের পার্থক্যের কারণেই এই বৈষম্যের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটা যেমন একটি দেশের সমাজিক কাঠামোতে ব্যক্তি, শ্রেণী ও গোষ্ঠীতে বিরাজ করে তেমনি বৈশ্বিক পরিমন্ডলে দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে ও বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলের মধ্যেও তা বিরাজমান। ধনী-দরিদ্রের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ্বের দেশগুলি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাংক আয়ের ভিত্তিতে সদস্যদেশগুলোকে নিম্ন আয়ের দেশ, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ, উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং উচ্চ আয়ের দেশএই চার শ্রেণীতে বিভক্ত করেছে। বিশ্বব্যাংকের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখনও নিম্ন আয়ের দেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র হিসেব অনুযায়ী ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১০৫৪ ডলার। অর্থনৈতিক বৈষম্য একটি স্বাভাবিক ব্যাপার যতক্ষণ তা একটি সহনীয় মাত্রার মধ্যে বিরাজ করে। কিন্তু অনৈতিক শোষণ প্রক্রিয়া এবং দুর্নীতি যখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখন সাধারণ জনগণের আয় ও সম্পদ শোষক শ্রেণী ও দুর্নীতিবাজদের হাতে কুক্ষিগত হতে থাকে। সরকারের রাজস্ব ও উন্নয়ন নীতিমালা যদি এদের সহায়ক হয় তবে বৈষম্যের গতি অস্বাভাবিকরূপে বৃদ্ধি পায়। ভাগ্যোন্নয়নের সুযোগ ও উন্নয়নের ফসল সমভাবে তৃণমূল পর্যায়ে না পৌঁছানোর কারণে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমাগত বাড়তে থাকে। যা কিনা আজকের ভারতবর্ষে দেখা যাচ্ছে , বড়ো মাছ এতদিন ছোট মাছ কে গ্রাস করে এসেছে এবার ছোট মাছ বড়ো মাছকে ঠুকরে খাবার চেষ্টা করছে / ভবিষ্যতে এমন অবস্থা আসবে যখন মানুষ মানুষের বাজার কেড়ে খাবে / কিন্তু এরজন্য দায়ী কে ? দায়ী অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও যন্তর মন্তরের রাজনীতি / জাতীয় অসম অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার রাশ টেনে ধরা হলে ধনী-দরিদ্রের এ বৈষম্য হ্রাস পেতে থাকবে। জন দুর্নীতি মুক্ত সমাজ ব্যাবস্তা গড়ে তুলতে হবে , কিন্তু খুব খারাপ লাগে যখন জনপ্রতিনিধির নাম কোনো কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পরে / জাতীয় বাজেটে দারিদ্র বিমোচনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে যাতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী শিক্ষা, স্বাস্থ, পানীয় জল ও সেনিটেশন ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ পায়। এছাড়া তাদের অত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ক্ষুদ্র ঋণের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ভোট ব্যাংকের রাজনীতি ছেড়ে দেশের অসম বন্টিত অর্থবাবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে / প্রতিভা অনুযায়ী ছেলেবেলা থেকে নির্দিষ্ট দিকে শিক্ষা ও কর্ম স্থান সৃষ্টি করতে হবে / তেলা মাথায় তেল দেওয়া’র নীতি পরিহার করে জাতীয় সম্পদে ও সুযোগ সুবিধায় গরীবের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। রাজনীতিবিদেরা হবেন মহীরুহ সোমো, আজকাল দেখাযাচ্ছে বাবা মায়ের পয়সায় বসে খাওয়া নপুংসক অশিক্ষিত ,বুদ্ধিহীন কিছু যুবক বাইক চেপে গম্ভীর ভাবে গুড়ে বেড়ায় , তারা নাকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিচু তলার সৈনিক / হায় .....

Comments

Popular posts from this blog