মহা
কালী পূজা ভারতের
সর্বত্র হয়ে থাকে , বাংলার কালীপূজার গুরুত্ব একটু আলাদা
/ শ্মশান কালী তন্ত্র মতে পূজিতা এবং
ভয়ঙ্করী এক রূপ , এই
দেবী অঞ্জন পর্বতের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ শুস্ক শরীরবিশিষ্টা। রক্তিমাভ চক্ষু বিশিষ্টা। এনার কেশ আলুলায়িত।এই
দেবীর ডান হাতে সদ্য
ছিন্ন নরমুণ্ড ও বাম হাতে
আসবপূর্ণ নরমুণ্ড নির্মিত পানপাত্র।দেবী সর্বদা ক্ষুৎ পিপাসান্বিত ও শবরূপী সদাশিবের
উপর দন্ডায়মানা।কপালে অর্ধচন্দ্র শোভিতা / করালো
বদনাং , ঘোরাং , মুক্ত কেসিং
চতুর্ভুজাং / মদ্য,
মৎস , মাংস প্রধান
উৎসর্গ ( যদিও এটা সুস্থ
বুদ্ধিতে গ্রহণ যোগ্য নয়) কিছু
তান্ত্রিক মৎস ,মাংস আর
মদ্য উপাচার দ্বারা পূজা করে থাকেন।
তবে এই তথ্য স্থুল
বুদ্ধির ই প্রমান
/ আধুনিক যুক্তি অনুসারে মহা
কালী পূজা হলো
মহা কালের আরাধনা
, কাল হলো সময় কালের অধীনে সকলে আবার
কাল কে যদি ব্ল্যাক হোলের সাথে তুলনা করি
তাহলে অনন্ত অসীম মহা
শক্তির আরাধনা
/ অসীম কে জানার ইচ্ছা মানুষের
জন্মগত তা
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি
দিয়েই হোক অথবা
আধ্যাত্বিক দৃষ্টিতে / দক্ষিনাকালী পূজা বাংলায় বহুল
প্রচলিত এর প্রচলন
উপাখ্যান একবার বলি ,প্রায় ৬০০
বছর আগে, রামপ্রসাদ সেনের
গুরু কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ স্বপ্নে আদেশ পান কালীর
প্রসন্ন ভাবমূর্তি রচনা করার।স্বপ্নে দেবী
তাঁকে জানান পরবর্তী ভোরে যে নারীকে
তিনি সর্বপ্রথম দেখবেন তার রূপ অনুযায়ী
কালীর এক প্রসন্ন প্রতিমূর্তি
তৈরী করতে। পরবর্তী ভোরে যে নারীকে
প্রথম সে দেখেন তিনি
কৃষ্ণবর্ণা, তার ডান পা
সামনে, উন্মুক্ত কালো কেশ এবং
বাম হাত উত্তোলনের দ্বারা
দেয়ালে গোবর স্থাপন করছেন।
আকস্মিক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশকে সামনে দেখে সেই মহিলা
খুব লজ্জা পেলেন এবং তার জিহ্বা
বার করে দাঁত দিয়ে
চাপলেন। সেই নারীর রূপ
অনুসরণ করে আগমবাগীশ মহাশয়
কালীর মূর্তিতত্ত্ব অনুযায়ী দক্ষিণা কালীর মূর্তি রচনা করেছিলেন। এর
আগে কালী যন্ত্রে কালীপূজা
হতো। তাহলে বুঝতেই পারা
যায় যে দক্ষিনাকালী
বাংলার সেন্টিমেন্টে কতটা
জড়িয়ে রয়েছে ? তবে
কালী কে ঘরের মেয়ে
করে তুলেছেন শ্রী
বাম দেব , শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস
দেব , শ্রী র্যাম প্রসাধের মতো মহামানবেরা
/ রাম প্রসাদের সেই গান
" আর কাজ কি আমার
কাশী?
মায়ের
পদতলে পড়ে আছে, গয়া
গঙ্গা বারাণসী।।
হৃৎকমলে
ধ্যানকালে, আনন্দসাগরে ভাসি।
ওরে
কালীপদে কোকনদ, তীর্থ রাশি রাশি।। ভোলা
যায় ? বাংলা
সাহিত্যে ও কালী
ময় কোথায়
নেই মা
, কমলাকান্ত
ভট্টাচার্য প্রমুখ কালী সাধকেরা এবং
কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় প্রমুখ বিশিষ্ট
কবিরা অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামাসংগীত
লিখেছেন। স্বামী বিবেকানন্দ ‘মৃত্যুরূপা কালী’ নামে একটি দীর্ঘকবিতা
এবং তাঁর শিষ্যা ভগিনী
নিবেদিতা মাতৃরূপা কালী নামে একটি
প্রবন্ধ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। শ্রী
রামকৃষ্ণ তো আমাদের
পথ প্রদর্শক , একজন অতি সাধারণ
মানুষ কিভাবে সামাজিক গোড়ামি
, কুসংস্কার, অমানবিকতার বিরুদ্ধে নবজাগরণ গড়ে
তুলে ছিলেন / ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শোষণে অত্যাচারিত নিপীড়িত ভারত
বাসীকে বুকে টেনে
নিয়ে ছিলেন / তাইতো সেদিনকার
বিলে হয়ে
উঠেছেন একালের যুব
নায়ক স্বামী বিবেকানন্দ / একটা ঘটনার কথা
বলি শ্রী রাম
কৃষ্ণ একদিন তিনি সম্পূর্ণ উলঙ্গ
অবস্থায় একগাছের তলায় বসে সাধনা
করতে বসেছেন। সেই সময় উনার
ভাগ্নে এই অবস্থায় দেখতে
পেয়ে জিজ্ঞেস করল – “মামা তুমি পৈতে
খুলে রেখেছে? অথচ ব্রাহ্মণদের পৈতে
খুলে রাখা অনুচিত। “রাম
কৃষ্ণ বলে ছিলেন " এটা
একটা অহংকার , এটা একটা পাশ
,মাকে ডেকে
নিয়ে আবার
পড়বো " / সুতরাং বাঙালি
কালী ময় , এই কালিই আমার
ভালো //
উক্ত প্রবন্ধ
টি তে যেসকল ঘটনা
এবং তত্থ দেওয়া
হয়েছে তা বিভিন্ন লেখা
থেকে অধ্যয়ণ
করে সংগৃহিত // কালীই আমার ভালো
..... পড়তে হবে নাহলে ঠকতে
হবে
ধীমান ভট্টাচার্য ( সব জান্তা গামছাওয়ালা
)
Comments
Post a Comment