পাঁচুবাবু আর
জোড়া ইলিশ ... পড়তে হবে হাসতে
হবে বুজতে হবে / ধীমান
ভট্টাচার্য ( সবজান্তা গামছাওয়ালা )
পাচু
গোপালের ব্যাড লাক টাই খারাপ
/ একমাত্র সেই কবেকার
এন্টিক মেদমত্ত পত্নী
বিশালাক্ষী দেবীর অর্ডার , আজ বাজার
থেকে ইলিশ আনতে হবে
/ পাঠ কলের কেরানী পাচু
গোপালের পকেটের অবস্থা যেমন পেটের
অবস্থাও তেমন / সে যাগগে পুরোনো
পাকা সূরার মতই পুরোনো এন্টিক প্রেম পেকে টুসটুসে
হয় / বিশালাক্ষী দেবীর
মেদমত্ত রূপ পাচু
বাবুর কাছে পাকা সূরার
মতোই অমৃত
/ এই সব
কথা ভাবতে ভাবতে কুঁদঘাটের চাকদা বাজারে
উপস্থিত হলেন পাচু গোপাল
, টালি নালার সুগন্ধিত
সুভাষে পাচু
বাবুর সম্বিৎ ফিরে এলো / ২৫
ইঞ্চির বুকের
ছাতি ফুলিয়ে মাছের বাজারের দিকে এগিয়ে গেলেন
পাচু গোপাল / মাকুর মতন গড়ন রুপার ন্যায় রূপসী ইলিশ সুন্দরীর
তন্বি শরীর , ড্যাব ড্যাবে চোখের মোহময়ী
ইশারায় একেবারে প্রেমে
হাবুডুবু খেতে
খেতে সুরুৎ করে ঝোল টেনে জিজ্ঞেস করলেন
: " কেজি কত ?"
মাছওয়ালা এক
গাল হেঁসে বললো : " বাবু ১৬ শ
টাকা "/
পাচু
গোপালের হৃদ মাঝারের উল্লসিত প্রেম নিমেষে
হৃদপিন্ড সমেত ভূপতিত
হলো / টাকে বিনবিনে ঘাম
, অপরদিকে বিশালাক্ষী
দেবীর রুদ্র মূর্তি স্লাইড শোএর মতো মস্তিষ্কে ক্ষনে
ক্ষনে পরিবর্তিত হয়ে কখনো
- ছিন্নমস্তা ,কখনো চামুন্ডা
আবার কখনওবা করাল
বদনাং রূপে দেখা দিতে
লাগলো / পাচু বাবু কিছুক্ষনের
জন্য নিজ
লিঙ্গ ভুলেগেলেও , পরোক্ষনে তার
মনে পড়লো তিনি পুরুষ
সিংহ /
আজ ইলিশ কিনতেই হবে
, পাচু বাবু গুনগুন
করে গাইতে লাগলেন
-" ইলিশ .. তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো
ছেড়ে দেব না
"/
পাচু
গোপাল দালানে বসা মাছওয়ালা বাবুদের
ছেড়ে একটু ভিতরে মাছওয়ালী
দেড় দিকে এগোলেন , এদিক ওদিক
চোখ বোলাতে লাগলেন ঠিক সেই সময়
এক নারী কণ্ঠে হতচকিত
হলেন - " খোকা দেব বাবু
, আসলেই খোকা দেব "/
সেকিরে
বাবা ? যুগে যুগে কত
কি দেখবো ? ডেকে ডেকে খোকা
দেয়? তবুও পাচু বাবু
ভাবলেন , ভয় কে জয়
করে এগিয়েই দেখা যাক / গুটি
গুটি পায়ে খোকা দেওয়া মাসির
দিকে এগিয়ে
গেলেন পাচু
গোপাল /
" এদিকে
আসেন বাবু ,একদম টাটকা খোকা
ইলিশ আছে বাবু "/
কানকো
উল্টে মাছ কতটা টাটকা
দেখাতে চেষ্টা করলো মাছওয়ালী / খোকা
বৃত্তান্ত বুঝতে পারলেন পাচু গোপাল / বুকে
বল এনে জিজ্ঞাসা করলেন
-
" কত
করে ?"
"এজ্ঞে বাবু শ
- এ - পিস "/
চমৎকার
/ সাইজে ছোট হলে কিহবে
, পকেটে তো
পোষাবে / আজ জোড়া
ইলিশই খাবো
/ ২ শ টাকায় জোড়া
ইলিশ ঝুলিয়ে
বাড়ির গেটে এসে গিন্নি
কে আদর করে ডাকতে লাগলেন : " পটেশ্বরী আমার
প্রেমেরস্বরী জোড়া
ইলিশ ..... আহা শ
-এ -পিস /"
হটাৎ
নারী কণ্ঠের চেনা
অব্যাক্ত গোঙানির
মতো চিল চিৎকার ক্ষণকাল
পরে কর্ণে উপলব্ধি হলো
/
" বলি
কত বেলা হলো খেয়াল
আছে ? মেয়ে জামাই এসে গেলো , আর
বুড়ো ঘুমের মধ্যে জোড়া
ইলিশ ..... আহা শ
-এ -পিস -শ
-এ -পিস বলে চিৎকার
করে যাচ্ছে / দেখো জামাই জোড়া ইলিশ এনেছে
/"
তড়াক
করে লাফ দিয়ে উঠলেন
পাচু গোপাল / সবই কি তাহলে
স্বপ্ন /দড়ি পাকানো মদ্ধবিত্ত
শরীরের সমস্ত শখ জমিয়ে রাখা
এক মাত্র কন্যার ভবিষ্যত ও
বিবাহের জন্য / আজ সব শেষ
/ জামাইয়ের হাতে জোড়া ইলিশ
, আদরের প্রণাম শেষে , কেমন আছেন বাবা
? পাচু বাবুর চোখে জল আনে
,বলেন ভালো আছি খুব ভালো //
Comments
Post a Comment