সকল মানুষই ভালো .... ওই যে যার মান হয়তো বেশি হুশ হয়তো বা কম ,তারাই ভালো আর খারাপ মানুষ খুঁজে মরেন // মানুষকে মানুষ বলার সুবিশেষ কারন আছে কিনা জানিনা, তবে ব্যাকরণবিদরা বলেন মান আর হুশ মিলিয়ে মানুষ শব্দের উৎপত্তি। অর্থাৎ আত্ম-মানমর্যাদাবোধ ও হুশজ্ঞান তথা বিবেকবোধ যার আছে সেই মানুষ। আত্মা কে ? মন ও প্রবৃত্তি আত্মা নয় /কখনো ভেবেছো তুমি কে ? এক মিনিট চোখ বন্ধ করে দেখো বুজবে তুমি কে / মানুষের মান থাকা উচিত স্বাধিকারের জন্য , আত্মমর্যাদার লড়াইয়ের জন্য আর হুশ হল সেই আত্ম মর্যাদা বোধ কে প্রকাশ করার জন্য / এবার যে যেমন ভাবে দেখো ...... বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে আত্মা সম্পর্কে বলা হয়েছে ,কিন্তু বর্তমান আত্ম কেন্দ্রিক সমাজে নিজেকে চিনে নেওয়া খুব কঠিন কারণ ,আত্ম কেন্দ্রিক সমাজ কখন যে অর্থ কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে তা বোধ হয় আমরা নিজেও জানি না / মানুষ আজ ঘরে ঘরে ডাক্তার ,ইঞ্জিনিয়ার , পাচ্ছেন কিন্তু মানুষ পাচ্ছেন কি ? রাজনীতিবিদ থেকে তুমি আমি সকলেই আজ বোধ হীন , কারণ , বোধ আমাদের ঈশ্বর দিয়েছেন কিন্তু সেটা কিভাবে কাজে লাগাবো আজ তা আমরা জানি না / মানুষের উৎপত্তি সম্পর্কে দুটি তত্ত্ব রয়েছে : অবৈজ্ঞানিকটি অধঃপতনতত্ত্ব, বৈজ্ঞানিকটি বিবর্তনতত্ত্ব। অধঃপতনতত্ত্বের সারকথা মানুষ স্বর্গ থেকে অধঃপতিত। বিবর্তনতত্ত্বের সারকথা মানুষ বিবর্তনের উৎকর্ষের ফল। অধঃপতনবাদীরা অধঃপতনতত্ত্বে বিশ্বাস করে; আমি যেহেতু মানুষের উৎকর্ষে বিশ্বাস করি, তাই বিশ্বাস করি বিবর্তনতত্ত্বে। অধঃপতন থেকে উৎকর্ষ সব সময়ই উৎকৃষ্ট। সৎ মানুষ মাত্রই নিঃসঙ্গ, আর সকলের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু (হুমায়ূন আজাদ).... মনে করো তোমাকে কেউ আলোচনা অথবা সমালোচনা করছে তাহলে বুজবে তুমি ওই মানুষটির কাছে গুরুত্ব পাচ্ছ / লোকশিক্ষক হিসাবে রামকৃষ্ণ পরমহংস ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। গ্রাম্য বাংলায় ছোটো ছোটো গল্পের মাধ্যমে দেয় তাঁর উপদেশাবলি জনমানসে বিস্তার করেছিল ব্যাপক প্রভাব। ঈশ্বর-উপলব্ধিই তিনি মানবজীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য বলে মনে করতেন। শ্রীরামকৃষ্ণের মতে, কাম ও অর্থই মানুষকে ঈশ্বরের পথ হতে বিচ্যুত করে; তাই “কাম-কাঞ্চন” বা “কামিনী-কাঞ্চন” ত্যাগের পথই তাঁর কাছে ছিল ঈশ্বরের পথ। জগতকে তিনি ‘মায়া’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে জগতের অন্ধকার শক্তি ‘অবিদ্যা মায়া’ (অর্থাৎ, কামনা, বাসনা, লোভ, মোহ, নিষ্ঠুরতা ইত্যাদি) মানুষকে চেতনার সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে আনে। এই মায়া মানুষকে কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ করে। অন্যদিকে সৃষ্টির আলোকময় শক্তি ‘বিদ্যা মায়া’ (অর্থাৎ, আধ্যাত্মিক গুণাবলি, জ্ঞান, দয়া, শুদ্ধতা, প্রেম ও ভক্তি) মানুষকে চৈতন্যের সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যায়। চৈতন্য ই সেই বোধ বা হুশ/ সুতরাং ওই যে বললাম যে, যার মান হয়তো বেশি হুশ হয়তো বা কম ,তারাই ভালো আর খারাপ মানুষ খুঁজে মরেন // কমজোরি মানুষ হয়ে বেচেথাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো /মানমর্যাদাবোধ ও হুশজ্ঞান তথা বিবেকবোধ কে জাগ্রত করে মাতৃভূমির জন্য লড়ে যদি মৃত্যুও আসে তবে তা হবে পরম সত্য পরম তৃপ্তি , আমার লেখা সেই পুরোনো কবিতা টি দিয়ে শেষ করি ?
করে তোলো মোরে মানুষ -
সত্যি করের মানুষ /
যারা কাঁদে ওদের সাথে ,
যারা করে না ভয় পদমর্যাদার -
যারা ঘৃণা করে বিলাসিতার ,
যারা ত্যাগ করে দেয় তাদের জন্য -
সব স্বার্থ ,আমি হবো তাদের মতোই ,
আমি ঘৃণা করি যারা ভায়ের রক্ত শোষে -
হত্যা করে নিজের স্বার্থে , অক্ষমতার রোষে /
তারা অপদার্থ , আমি হবো তাদের মতো -
যারা ত্যাগ করে সব স্বার্থ //
ধীমান ভট্টাচার্য ( সবজান্তা গামছাওয়ালা )
Comments
Post a Comment